হস্তমৈথুন থেকে বাচার উপায় কোরআন ও হস্ত মৈথুন | হাদীসের আলোকে - Tech Support BD -->

বিজ্ঞাপন

হস্তমৈথুন থেকে বাচার উপায় কোরআন ও হস্ত মৈথুন | হাদীসের আলোকে

Md Sabbir Rahaman
হস্তমৈথুন থেকে বাচার উপায় কোরআন ও হস্ত মৈথুন | হাদীসের আলোকে
হস্তমৈথুন বা মাষ্টারবেশন হচ্ছে হাত দিয়ে নিজের গোপনাংগ সঞ্চালন করে বীর্য নির্গত করা।
প্রতিনিয়ত করার ফলে এটি অভ্যাসে পরিনত হয়ে যায়, মনে রাখা দরকার- শয়তান চায় মানুষের নগ্নতা প্রকাশ করে গুনাহে লিপ্ত করতে, এবং বান্দা একবার এতে মজা পেয়ে গেলে প্রতিনিয়ত করতেই থাকে। ফলপ্রসূ স্বভাবে পরিনত করে।
বিশেষভাবে, যুবক বয়সে অর্থাৎ যৌবনে ছেলে এমনকি মেয়েদের ও এই সমস্যা বেশী। স্কুল, কলেজ কিংবা ভার্সিটি পড়ুয়া কেউই এর থেকে মুক্ত নয়। মজা কিংবা অভ্যাসে এক সময় এটা রোগে পরিনত হয়।
কোরআন ও হাদীস থেকে সমাধানঃ
কোরআনে আল্লাহ বলেন- 
“ আর যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে হেফাযত করে। নিজেদের স্ত্রী বা মালিকানাভুক্ত দাসীগণ ছাড়া; এক্ষেত্রে (স্ত্রী ও দাসীর ক্ষেত্রে) অবশ্যই তারা নিন্দিত নয়। যারা এর বাইরে কিছু কামনা করবে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী। ”
[সূরা মুমিনুন, আয়াত: ৫-৬]
হাদীসে রাসূল সাঃ বলেন-
আব্দুল্লাহ্‌ বিন মাসউদ (রাঃ) বলেনঃ ” নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে আমরা এমন কিছু যুবকে ছিলাম যাদের কিছু ছিল না। তখন রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: হে যুবকেরা! তোমাদের মধ্যকার যার باءة (বিয়ের খরচ বহন ও শারীরিক সামর্থ্য) রয়েছে সে যেন বিয়ে করে ফেলে। কেননা, তা তার দৃষ্টি নিম্নগামী রাখতে ও লজ্জাস্থানকে হেফাজত করায় সহায়ক হয়। আর যে বিবাহের সামর্থ্য রাখে না, সে যেন রোজা রাখে। কারণ তা যৌন উত্তেজনা প্রশমনকারী। ”
[সহীহ বুখারী (৫০৬৬)]
শরিয়ত প্রণেতা, বিয়ে করতে অক্ষম হলে কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও রোযা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। হস্তমৈথুন করার পরামর্শ দেননি। যদিও হস্তমৈথুনের প্রতি আগ্রহ বেশি থাকে, হস্তমৈথুন করা রোযা রাখার চেয়ে সহজ। কিন্তু তদুপরি তিনি সে অনুমতি দেননি।
হস্তমৈথুনে লিপ্ত ব্যক্তি কিভাবে এর থেকে মুক্তি পেতে পারেন এ সম্পর্ক কিছু উপদেশ ও পদক্ষেপঃ
১। আল্লাহ্‌র নির্দেশ পালন ও তাঁর অবাধ্যতা থেকে বিরত থাকুন।
২। স্থায়ী সমাধান তথা বিয়ের মাধ্যমে এ অভ্যাসকে প্রতিরোধ করা। কারণ এটাই ছিল যুবকদের প্রতি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপদেশ।
৩। নানা রকম কু-চিন্তা ও খারাপ ভাবনা থেকে দূরে থাকা। দুনিয়া বা আখেরাতের কল্যাণকর চিন্তায় নিজেকে ব্যস্ত রাখা। কারণ কু-চিন্তাকে বাড়তে দিলে সেটা এক পর্যায়ে কর্মের দিকে নিয়ে যায়। চূড়ান্ত পর্যায়ে তা নিয়ন্ত্রয়ের বাইরে গিয়ে অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। তখন তা থেকে মুক্ত হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
৪। দৃষ্টিকে নত রাখা। কারণ কোন ব্যক্তি বা অশ্লীল ছবির দিকে দৃষ্টিপাত করা, সেটা জীবিত মানুষের হোক কিংবা আঁকা হোক, বাঁধহীন দৃষ্টি ব্যক্তিকে হারামের দিকে নিয়ে যায়।
আল্লাহ্‌ তাআলা বলেছেন: “মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে ” [সূরা নূর, আয়াত: ৩০]
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “তুমি দৃষ্টির পর দৃষ্টি দিবে না ” [সুনানে তিরমিযি (২৭৭৭)]
৫। নানাবিধ ইবাদতে মশগুল থাকা। পাপকাজ সংঘটিত হওয়ার মত কোন অবসর সময় না রাখা।
৬। এ ধরণের কু-অভ্যাসের ফলে যেসব শারীরিক ক্ষতি ঘটে থাকে সেগুলো থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা। যেমন- দৃষ্টিশক্তি ও স্নায়ুর দুর্বলতা, প্রজনন অঙ্গের দুর্বলতা, মেরুদণ্ডের ব্যথা ইত্যাদি।
৭। ভুল দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি পরিতুষ্টি দূর করা। কারণ কিছু কিছু যুবক ব্যভিচার ও সমকামিতা থেকে নিজেকে রক্ষা করার ধুয়া তুলে এই কু-অভ্যাসকে জায়েয মনে করে। অথচ হতে পারে সে যুবক ব্যভিচার ও সমকামিতার নিকটবর্তী হওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই।
৮। কঠিন ইচ্ছা ও শক্ত সিদ্ধান্ত দিয়ে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা। শয়তানের কাছে হার না মানা, একাকী না থাকা।
৯। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশিত প্রতিকার পদ্ধতি গ্রহণ করা; সেটা হচ্ছে– রোযা রাখা। কেননা রোযা যৌন উত্তেজনাকে প্রশমিত করে এবং যৌন চাহিদাকে পরিশীলিত করে।
১০। ঘুমানোর সময় ইসলামী আদবগুলো মেনে চলা। যেমন- ঘুমানোর দোয়াগুলো পড়া, আয়াতুল কুরসী পড়া, ডান পার্শ্বে কাত হয়ে শোয়া, পেটের উপর ভর দিয়ে না-ঘুমানো।
১১। ধৈর্য ও সংযমের গুণে নিজেকে ভূষিত করা। কারণ হারাম কাজ থেকে ধৈর্য রাখা আমাদের উপর ফরয; যদিও আমাদের মাঝে সেগুলো করার চাহিদা থাকে। আমাদের জানা উচিত, যদি আমরা নিজেকে সংযমী রাখার চেষ্টা করি তাহলে পরিশেষে সেটা ব্যক্তির অবিচ্ছেদ্য আখলাকে পরিণত হবে।
১২। কেউ যদি এই গুনাহটি করে ফেলে তাহলে তার উচিত অনতিবিলম্বে তওবা করা, ক্ষমা প্রার্থনা করা, নেকীর কাজ করা এবং ক্ষমাপ্রাপ্তির ব্যাপারে হতাশ না হওয়া।
১৩। সর্বশেষ, নিঃসন্দেহে আল্লাহ্‌র কাছে তওবা করা, দোয়ার মাধ্যমে তাঁর কাছে মিনতি করা, তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা এই কু-অভ্যাস থেকে বাঁচার সবচেয়ে বড় উপায়। কেননা আল্লাহ্‌ তাআলা দোয়াকারীর ডাকে সাড়া দেন।
মনে রাখবেনঃ
নেককাজ গুনাহসমূহকে মিটিয়ে দেয়। – (আল-কোরআন)
আল্লাহ তায়ালা ক্ষমাশীল একমাএ শিরক ও কবীরা গুনাহ ব্যাতীত আল্লাহ তায়ালা বান্দার গুনাহ সাগরের ফেনাহ পরিমান হলেও ক্ষমা করে দিবেন, বেশী বেশী তওবা করুন।
যেকোনো প্রয়োজনে আমাকে ফেসবুক পেজে ইনবক্স করতে পারেন
ধন্যবাদ সবাইকে ।trickbd এর সাথে থাকুন। 

The post হস্তমৈথুন থেকে বাচার উপায় কোরআন ও হস্ত মৈথুন | হাদীসের আলোকে appeared first on Trickbd.com.



from Trickbd.com https://ift.tt/qyv1w8n

0 Response to "হস্তমৈথুন থেকে বাচার উপায় কোরআন ও হস্ত মৈথুন | হাদীসের আলোকে"

Post a Comment