জেনে নিন ফ্ল্যাশ ড্রাইভের অসাধারণ ৫টি ব্যাবহার
আসসালামু আলাইকুম!
আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজ আমি ফ্ল্যাশ ড্রাইভের ভিন্ন কিছু ব্যবহার নিয়ে কথা বলবো ।
আপনার হয়তো মনে নেই, কিন্তু অনেক পুরনো ফ্ল্যাশ ড্রাইভ হয়তো বাড়িতে পড়ে রয়েছে, যা বহুদিন ধরে ব্যবহার করা হয়নি। আপনি হয়তো জানেনও না এই পুরনো ড্রাইভগুলোর কতগুলো চমৎকার ব্যবহার আছে। অনেকে মনে করেন, ফ্ল্যাশ ড্রাইভ শুধু ফাইল আদান-প্রদানের জন্যই, কিন্তু এর আরও অনেক ব্যাবহার আছে। চলুন তাহলে ফ্ল্যাশ ড্রাইভের পাঁচটি বিশেষ ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেই।
১. কম্পিউটার লক ও আনলক করা
PREDATOR সফটওয়্যার ব্যবহার করে আপনার ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভকে বানিয়ে ফেলতে পারবেন কম্পিউটারের চাবি। আপনি যখন বাইরে থাকবেন কেউ আপনার পিসি আনলক করতে পারবে না। যখন নির্দিষ্ট ফ্ল্যাশ ড্রাইভ পিসিতে ঢুকাবেন তখনই আপনার পিসি আনলক হবে।
আপনি যদি চান আপনার অবর্তমানে কেউ আপনার পিসি ব্যবহার করতে পারবে না তাহলে এই মেথড ব্যবহার করতে পারেন। পিসিতে ফ্ল্যাশ ড্রাইভটি ইনসার্ট করুন, PREDATOR সফটওয়ারটি ইন্সটল করুন এবং পিসি লক করে দিন। পরবর্তীতে আপনি চাইলেই কেবল পিসি আনলক হবে।
২. কম্পিউটারের মেমোরি পরীক্ষা করুন
Memtest86 সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে আপনি করে ফেলতে পারবেন আপনার পিসির মেমোরি টেস্ট। আপনার ফ্ল্যাশ ড্রাইভে এই সফটওয়্যারটি ইন্সটল করুন এবং ড্রাইভটি থেকে উইন্ডোজ পিসি বুট করুন। বুট করা পর আপনি বিভিন্ন টেস্টের সাথে সাথে মেমোরি বা RAM ও টেস্ট করতে পারবেন।
Memtest86 সফটওয়্যারটি কেবল আপনার কম্পিউটারের সমস্যাগুলি নির্ণয়ের জন্যই ব্যবহৃত হবে না, আপনি যদি র্যামের মতো আপনার সিস্টেমের কম্পোনেন্ট গুলো ওভার-লোড করেন সেটিও টেস্ট করতে পারবেন এই পদ্ধতিতে।
৩. প্রাইভেট ব্রাউজিং
একটি পুরনো ফ্ল্যাশ ড্রাইভে পোর্টেবল ব্রাউজার যেমন Google Chrome ইন্সটল করে, নিরাপদ ও প্রাইভেটভাবে ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারেন। এতে আপনার ব্রাউজিং ডেটা কম্পিউটারে সংরক্ষিত হবে না, ফলে অন্যের কম্পিউটারেও নিরাপদে ব্রাউজিং করতে পারবেন।
৪. উইন্ডোজ রিকোভারি ড্রাইভ হিসেবে ব্যবহার
আগে সিডি দিয়ে উইন্ডোজ সেটআপ করা হলেও, এখন এটি ফ্ল্যাশ ড্রাইভে খুব সহজে করা সম্ভব। উইন্ডোজ রিকোভারি ডিস্ক হিসেবে ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ব্যবহার করলে সেটআপ প্রক্রিয়া আরও দ্রুত ও নিরাপদ হয়। আপনি পেন-ড্রাইভ বা ফ্ল্যাশ-ড্রাইভকে বুটেবল করতে Microsoft Recovery টুলটি ব্যবহার করতে পারেন।
৫. প্রাইভেট অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার
আপনি যদি একটি প্রাইভেসি ফোকাস এবং পোর্টেবল অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনাকে স্বাগতম। আপনি একটি ৮ জিবি পেন-ড্রাইভ দিয়ে একটি প্রাইভেট অপারেটিং সিস্টেম, Tails ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। এই Tails অপারেটিং সিস্টেমটি বুট করতে পারবেন Windows, macOS, এবং Linux এ।
ফ্ল্যাশ ড্রাইভে Tails ইন্সটল দেয়ার মাধ্যমে আপনি নিরাপদে যেকোনো কম্পিউটার ব্যবহার করে আপনার ব্যক্তিগত কাজ করতে পারবেন। প্রাইভেট ভাবে কোন কাজ করতে Tails এর জুড়ি নেই। তাছাড়া এই অপারেটিং সিস্টেমে আলাদা কোন ধরনের হার্ড ডিস্কের দরকার হবে না।
শেষ কথা
আমরা দেখলাম, ফ্ল্যাশ ড্রাইভের বিভিন্ন কার্যকরী ব্যবহার। অবশ্যই ভাল মানের ড্রাইভ ব্যবহার করবেন, যাতে কাজগুলো আরও নির্ভরযোগ্যভাবে করা যায়।
আশা করি আজকের পোস্ট টি ভালো লেগেছে। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ!
The post জেনে নিন ফ্ল্যাশ ড্রাইভের অসাধারণ ৫টি ব্যাবহার appeared first on Trickbd.com.
source https://trickbd.com/tricks/2542469
0 Response to "জেনে নিন ফ্ল্যাশ ড্রাইভের অসাধারণ ৫টি ব্যাবহার"
Post a Comment